২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৫২

আসুন, অসুরের বিরুদ্ধে সুরের ঝংকার তুলি: ওবায়দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আসুন, অসুরের বিরুদ্ধে সুরের ঝংকার তুলি: ওবায়দুল কাদের

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আসুন, অসুরের বিরুদ্ধে সুরের ঝংকার তুলি। অশান্তির বিরুদ্ধে শান্তির পতাকা উড্ডিন করি। শান্তির পায়রা উড়িয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করে তুলি।’ 

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সনাতন সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উৎযাপন পরিদর্শন করতে এসে এমন আহ্বান জানান তিনি। এসময় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পূজা পরিদর্শনে এসে জগন্নাথ হলের উপাসনালয়স্থ মণ্ডপ ও শামসুননাহার হলের মণ্ডপ ঘুরে দেখেন ওবায়দুল কাদের। 

এসময় তিনি বলেন, আমাদের সবার সাধারণ শক্র সাম্প্রদায়িকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বলবো, আমাদের প্রধানতম শক্র সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে। জঙ্গিবাদ রুখতে হবে। ক্যাম্পাসকে শান্তিময় ক্যাম্পাসে রুপ দিতে হবে। অস্ত্রের ঝনঝনানি এই ক্যাম্পাসকে অস্থির করে তুলেছিলো। শেখ হাসিনার আমলে এখন এ ক্যাম্পাস শান্তিপূর্ণ। এখানে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের আগ্রাসন আমরা চাই না। এদেশের রাজনীতিতে আমরা দেয়াল তুলবো না, সেতুবন্ধন রচনা করবো, সেতু নির্মাণ করবো। এটাই হোক আমার শপথ। শেখ হাসিনা এ সুন্দরের অভিসারী। তিনি রুপকল্প-২০৪১ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যার মূল প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এবছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় হলের খেলার মাঠে ৭৩টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যাদেবী সরস্বতীর পূজা। এছাড়াও মেয়েদের হলগুলোতে আলাদাভাবে পূজার আয়োজন করা হয়। 

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর নিজেদের বিভাগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মণ্ডপ নির্মাণ করে। হলের পুকুরে বিশালকার সরস্বতী প্রতিমা নির্মাণ করে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর থেকে দিনভর সরস্বতী ভক্তদের আনাগোনা ছিলো মণ্ডপ প্রাঙ্গন জুড়ে। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষেরাও এসেছিলেন পূজার আয়োজন দেখতে। 

এদিকে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, হলসমূহের প্রাধ্যক্ষসহ আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপাচার্য সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, সরস্বতী বিদ্যা, জ্ঞান ও সুরের দেবী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে সরস্বতী পূজা। বিদ্যা দেবীর আরাধনার মাধ্যমে অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিনাশ হবে এবং মানুষের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর