আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ‘বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ বলেন, এ বছর ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর ও স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সাংবিধানিকভাবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আমরা পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের সংবিধানেই লাভ করেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল ২০ বছর পরে এই বিধান কার্যকর হবে। ১৯৬২ সালের সংবিধানেও একই কথা পুনর্ব্যক্ত হলো। অবশ্য ততদিন অপেক্ষা করতে হলো না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নজির বাংলা ভাষায় রচিত ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ঘোষণা দিলেন ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’।
তিনি বলেন, ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি অর্জিত হলো। কিন্তু বাংলা এখনো রাষ্ট্রের ভাষা হয়ে উঠতে পারেনি। পাকিস্তান আমলে বাধা ছিল শাসকরা। স্বাধীন বাংলাদেশে তো সেই বাধা দূর হয়েছে। সামাজিক, রাষ্ট্রিক প্রতিটি স্তরে বাংলা ভাষার সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার এখনো সুদূরপরাহত। প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান চালু থাকলেও ক্রমবর্ধমানহারে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের উত্থান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখ্তার বলেন, একুশের ভাষা আন্দোলন আমাদের আত্মপ্রতিষ্ঠার পূর্বাভাস ছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য, এই জাতির জন্য অনেক করে গিয়েছেন। বাঙালির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে কোনো স্বাধীনতা ছিল না। ভাষা আন্দোলন ছাড়া আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হতে পারতাম না। এটিই এই জাতির একমাত্র স্বাধীনতার ইতিহাস, যা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমাদের হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই