জেডিএস’র (জাপানিজ গ্র্যান্ট এইড ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ) ২২তম মাস্টার্স ও ৬ষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের জন্য ১৯ জুলাই রাতে একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেয়ার ক্ষেত্রে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের বৃত্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করছে জেডিএস প্রকল্প। গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের আওতাধীন এই প্রকল্প গ্র্যান্ট এইড স্কিমের অংশ।
এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীরা প্রোগ্রাম শেষ করে দেশে ফেরার পর নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়ার মাধ্যমে জাতির আর্থ-সামজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা জেডিএস বৃত্তি পেয়েছেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ কর্মকর্তারা জাপানের সমাজ ও কাজের ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ ও লক্ষ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবেন। প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ।
বিদায় অনুষ্ঠানে নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং আমেরিকা ও জাপান উইংয়ের প্রধান একেএম শাহাবুদ্দিন এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।
বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জেডিএস অপারেটিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেডিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ২২তম মাস্টার্স ও ৬ষ্ঠ পিএইচডি ব্যাচের জেডিএস ফেলোবৃন্দ।
জেডিএস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান, কেইও ইউনিভার্সিটি, কোবে ইউনিভার্সিটি, মেইজি ইউনিভার্সিটি, রিককিয়ো ইউনিভার্সিটি, রিতসুমেইকান ইউনিভার্সিটি, ত্সুকুবা ইউনিভার্সিটি, ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটি ও ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
বিডি প্রতিদিন/এএম