‘এবারের বৈশাখের স্বপ্ন শপথ, আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক এবং সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নানারকম দেশীয় সাজে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এর মাঝে বর-কনে, কৃষক, জমিদার, কুলি, চাষি, জেলে, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের সাজ এবং ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি, পালকি, ঢেঁকি ও ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন আয়োজন ছিল।
এরপর বাংলা মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নিয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে নববর্ষের যে অনুষ্ঠানগুলো রয়েছে, এই ঐতিহ্যগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর বাঙালি সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এইরকম অনুষ্ঠান খুবই ভালো উদ্যোগ। আমি আশা করব সামনের দিনগুলোতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জমকালো আয়োজনে এ অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করবে।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এটি আমাদের একটি আনন্দের মেলা। বাঙালি এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমরা এই আয়োজন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই এতে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশ নিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরের বাংলাদেশ একটি নতুন বাংলাদেশ। এটা শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্য ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আমরা এই আন্দোলনে যে ঐক্য গড়েছি, সেই ঐক্য সামনের দিকেও বজায় থাকবে। আমাদের এই ঐক্য হবে ফ্যাসিবাদের অবসানের ঐক্য। এই ঐক্য আগামীর বাংলাদেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ঐক্য। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণাকে উত্তরোত্তর সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এজন্য হবে আমাদের ঐক্য।
বিডি প্রতিদিন/কেএ