২১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০৯

রাহাত হত্যা : কলেজে বেপরোয়া ছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

রাহাত হত্যা : কলেজে বেপরোয়া ছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী

অভিযুক্ত সামসুদ্দোহা সাদী

সিলেটে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে খুন করা হয়েছে এক ছাত্রকে। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক ছাত্রলীগকর্মীর দিকে। সামসুদ্দোহা সাদী (২০) নামের ওই ছাত্রলীগকর্মী একই কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কলেজে পড়াকালীন তাকে একবার কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজে তার চলাফেরা ছিল খুবই বেপরোয়া। মারামারি আর মেয়েদের ইভটিজিং করাই ছিল তার কাজ।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। এ ঘটনায় সামসুদ্দোহা সাদি (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।

সাদি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজর থানাধীন সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে এবং তার সঙ্গে থাকা তানভীর একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, রাহাত প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। তখন চাচাতো ভাই রাফি তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। যাবার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কলেজের ভেতর যান রাহাত। কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজের মূল গেট থেকে ২০-২৫ গজ ভেতরে সাদি ও তানভীর সিলভার রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। ছুরিকাঘাতের পর তারা পালিয়ে যান। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাহাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

এ ঘটনায় কলেজে ৩ দিনের জন্য পাঠদান বন্ধের নোটিশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষা চলবে। কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম আজ বিকাল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়া ‘খুনিকে’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালে রাহাতের লাশ দেখতে এসে অধ্যক্ষ বলেন, সাদি খুব বেপরোয়া টাইপের ছেলে ছিল। আমাদের কলেজে থাকাকালে সে খুব উচ্ছৃঙ্খল ছিল। আমার সঙ্গে সে একবার জঘন্য বেয়াদবি করে। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

এ ঘটনায় সাদির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, নিহত রাহাত খুব ভালো চরিত্রের ও মেধাবী ছাত্র ছিল।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ


 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর