চট্টগ্রামে দমকা হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। সোমবার ভোর থেকেই আকাশ ঢেকে যায়। এসময় প্রাইভেট কারসহ যান্ত্রিক গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। এদিকে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারেও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজীর দেউড়ির চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস, শিশুপার্ক, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট সোনালী ব্যাংক সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ কর্মস্থলমুখী মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাস, টেম্পু, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা চলাচল কমে যাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেক যাত্রীকে।
রাঙ্গুনীয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন হাওলাদার বলেন, উপজেলার চন্দ্রঘোনা কাটাখালী এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ওপর একটি মাঝারি আকারের গাছ ভেঙে পড়ে। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে সরিয়ে ফেললে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ঝড়ের কারণে সীতাকুন্ডের কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে স্বদ্বীপসহ দ্বীপের প্রায় ৩০০ জন যাত্রী আটকে পড়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, চট্টগ্রামে সকাল ৯টা ১০মিনিট থেকে ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া রেকর্ড করেছি। সকাল ৯টা পর্যন্ত মাত্র ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার