চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায় (জিএম) যে সেবা সংস্থার প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। বুধবার চসিকের ৩২তম সাধারণ সভায় মেয়র এ ঘোষণা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে সবগুলো সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে, সমন্বয় করতে হবে। ওয়াসার যে সুয়ারেজ প্রকল্প তা চসিকের সঙ্গে সমন্বয় না করলে ফলপ্রসূ হবে না। আজকের সভায় ওয়াসার কোনো প্রতিনিধি নেই। যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকছে তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।
ট্রাফিক বিভাগকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ফুটপথ দখলের পর হকাররা এখন রাস্তাও দখল করছে। চসিক পরিস্থিতির উন্নয়নে উচ্ছেদ চালাচ্ছে। বর্তমানে ব্যাটারি রিকশায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রেনিং, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এ গাড়িগুলো চালান চালকরা। হয় এগুলোকে বন্ধ করে দেন, নাহলে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি বলেন, টানেল চালু হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে। রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে। কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পে-পার্কিং চালু করা গেলে, চট্টগ্রামে করতে ট্রাফিক বিভাগের আপত্তি কোথায়? পে-পার্কিং করতে গেলে সেখানে বাধা, যত্রতত্র গাড়ি দাড়িয়ে থাকলে তো কোনো বাধা দেখছি না।
সিডিএ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরীতে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। রাস্তা হলো ৮ ফিট, বিল্ডিং এর অনুমতি দেয়া হচ্ছে ৮ তলা, ১০ তলার। একেকটা বিল্ডিং এ একেকটা গ্রামের পরিমাণ লোক বসবাস করছে। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চসিক থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে। ফায়ার ব্রিগেড থেকেও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, কোনো দুর্ঘটনা হলে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, চসিক সচিবসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল