সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। গতকাল বুধবার আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। এ নিয়ে অষ্টম দফা পেছালো আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, বুধবার আদালতে হরমুজ আলী ও শমসের মিয়া নামক দুইজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে মাত্র পাঁচজন আসামি হাজির থাকায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত।
এডভোকেট কিশোর কর আরও জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন দুইজন। গত ১৯ নভেম্বর হরতাল থাকায় আদালতে আসামি ও সাক্ষীরা হাজির হতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১১ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরদিন সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়। গত ৫ নভেম্বর আবদুর রউফ ও এরফান আলী নামক দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরও আগে গত ৪ নভেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।
প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুর“ল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা