পাহাড়ে চোরাচালান, সীমান্তে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং সীমান্তে অস্ত্রবাজি বন্ধ- এ তিন বিষয়ের ওপর একমত হয়েছেন দুই দেশের জেলা প্রশাসক।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ ও ভারত জেলা প্রশাসক পর্যায়ে দ্বিতীয় যৌথ সীমান্ত সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে সম্মেলনে দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে নিয়মিত যোগাযোগের উপর অত্যধিক গুরত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
সম্মেলনে ভারতের মিজোরাম সেক্টরের তিনটি জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং এর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার প্রশাসক, পুলিশ, বিজিবি’র স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামশুল আরেফিন এবং ভারতের পক্ষে মিজোরামের লাংলাই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ মাধাওরাও মোর।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দুই দেশের সীমান্তে এ মুহুর্তে বড় কোন সমস্যা নেই, কোনো সংকটের সম্মুখীনও হচ্ছিনা। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দীর্ঘদিনের। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তে সৃষ্ট যে কোনো পরিস্থিতি জেলা প্রশাসক পর্যায় থেকে উভয়ে পরস্পরকে অবহিত করবে। জেলা প্রশাসক পর্যায়ে আলোচনা কিংবা উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত হবে। এতে দুই দেশের জন্যই সমস্যা সমাধান সহজ হবে।
মিজোরামের লাংলাই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ মাধাওরাও মোর বলেন, গত জানুয়ারিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে প্রথম বৈঠক করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগের বৈঠক হচ্ছে। এ ধরণের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন