বরিশাল নদী বন্দরে একটি শিশু পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের ওই শিশুটিকে বুধবার বিকেলে নদী বন্দরের টার্মিনাল থেকে উদ্ধার করে নদী বন্দরের পরিদর্শক মো. রিয়াদ হোসেন। পরে শিশুটিকে কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম মেহেদী, বাবার নাম কাওছার, বোনের নাম মাহিনুর এবং বাড়ি টঙ্গী (জয়দেবপুর থানা) বড় বাড়ি ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছে না। তার গায়ের রং শ্যাম বর্ন, পড়নে লাল রংয়ের ফুল প্যান্ট, গায়ে কিডস্ কোম্পানির একটি সবুজ গেঞ্জি এবং পায়ে চটি সান্ডেল।
চিপস খাওয়ানোর কথা বলে তাকে তার এক চাচা (নাম বলতে পারে না) নিয়ে এসেছিলো বলে শিশু মিরাজ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দরের পরিদর্শক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অফিসের কাজ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় টার্মিনাল ভবনের নিচ তলায় শিশুটিকে কাঁদতে দেখেন তিনি। এ সময় তার কাছে কিংবা আশপাশে তার কোন নিকট স্বজনকে না দেখে তিনি ওই শিশুটির নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। তখনও সে অঝোঁরে কাঁদছিলো। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার নাম মেহেদী, বাবার নাম কাওছার, বোনের নাম মাহিনুর এবং নিজের বাড়ি টঙ্গী বড় বাড়ির বেশী কোন তথ্য দিতে পারেনি। শিশুটি তাকে জানিয়েছে, তার চাচা নদী বন্দরের টার্মিনাল ভবনের নিচের বেঞ্চে তাকে বসিয়ে রেখে গেছে। তবে চাচার নাম বলতে পারেনি সে। দীর্ঘক্ষণ পরেও ওই চাচার কোন হদিস না পাওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ শিশুটির স্বজনদের খোঁজে মাইকিং করে। কিন্তু শিশুটির কথিত ওই চাচার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে- শিশুটি কোন অপহরণ চক্রের কবলে পড়েছিলো। বরিশাল নদী বন্দরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ফেলে রেখে সটকে পড়ে চক্রের সদস্যরা।
মাইকিংয়েও কোন সাড়া না পাওয়ায় শিশুটিকে বুধবার সন্ধ্যার পর কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করেন নদী বন্দরের পরিদর্শক রিয়াদ হোসেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী) মো. আসাদুজ্জামান জানান, নদী বন্দরে পাওয়া শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। তার পরিবার খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব