১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৫:০২

বরিশালের ৮ রুটে বাস ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের ৮ রুটে বাস ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার যানচালাচল বন্ধের দাবিতে বরিশাল নগরীর দক্ষিণাংশ অর্থাৎ বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা এবং বরগুনা মহাসড়কে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বরিশালের এই ৩ জেলার ৮টি রুটে বাস ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার পর্যটকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ এই ধর্মঘটের আহ্বান করে। আর বরিশাল-পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘটে সমর্থন দেয়।

এ কারণে বরিশাল থেকে বাউফল, পটুয়াখালী, আমতলী, কলাপাড়া, কুয়াকাটা এবং বরগুনাসহ ৮টি রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণের রুটগুলোতে কোন বাস ছাড়ছে না। একই ভাবে বরগুনা ও পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির কোন বাসও বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের দিকে আসছে না। আকস্মিক এই ধর্মঘটে ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের।

বরগুনার যাত্রী আব্দুর রহিম বলেন, স্ত্রী-সন্তানসহ বরগুনা যাওয়ার জন্য রূপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন বাস ধর্মঘট চলছে। কখন ধর্মঘট শেষ হবে তার নিশ্চয়তা নেই। বিকল্প পথে যেতে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুণতে হবে।

কুয়াকাটার যাত্রী ইমরান আহম্মেদ জানান, তারা কয়েক বন্ধু সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ। এতে তাদের কুয়াকাটা যাওয়ার আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। তারা এখন কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানিয়েছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আমতলী চৌরাস্তায় থ্রি-হুইলার যান চালকদের সাথে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জন বাস শ্রমিককে আটক করে। তাদের মুক্তি এবং মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়ক থেকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও থ্রি হুইলার যান চলাচল বন্ধের দাবিতে পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে আল্টিমেটাম দিয়েছিলো। বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে এর প্রতিকারও চাওয়া হয়েছিলো। দাবি নামা উল্লেখ করে পোস্টার্রিংও করা হয়েছে। কিন্তু বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে কোন প্রতিকার না হওয়ায় তারা অনির্দিষ্টকালেল ধর্মঘট শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস অসুস্থ থাকার এ বিষয়ে তিনি রেঞ্জ ডিআইজি’র সাথে কথা বলার অনুরোধ করেন। রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান বলেন, সমস্যাটা মূলত বরগুনায়। বিভাগীয় কমিশনার বরগুনার জেলা প্রশাসককে এবং তিনি (ডিআইজি) বরগুনার পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা সেখানকার বাস মালিক-শ্রমিকদের সাথে সভা করে আজ সকাল থেকে ওইসব মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে থ্রি হুইলার যান চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও বাস মালিক-শ্রমিকরা কেন ধর্মঘট শুরু করেছে, সেটা প্রশাসনের বোধগম্য নয়।

বিডি-প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর