সৌদি রিয়াল কেনার জন্য তিন ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। বিনিময়ে তাকে যে পোটলা দেয়া হয়েছিল তার ভেতরে ছিল কাগজ ও একটি ভিম সাবান। সঙ্গে সঙ্গেই মামলা করেন তিনি। রবিবার ওই তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম দেলোয়ার হোসেন ওরফে হায়দার মোল্লা (৪৭), রিপন ওরফে মহসিন শেখ (২৬) ও আনিসুর রহমান (৪৫)।
ওই ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে পরিচয় ছিল দেলোয়ার নামের ওই রাজমিস্ত্রির। সে সূত্রে ব্যাংক কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার নেয় দেলোয়ার। একদিন ব্যাংক কর্মকর্তার মোবাইলে কল করে সে। জানায়, তার পরিচিত একজনের কাছে ১১৮৬টি ১০০ টাকার রিয়াল (সৌদি আরবের মুদ্রা) আছে। সে রিয়ালগুলো বিক্রি করতে চায়।
দেলোয়ার এবং তার অপর এক সহযোগী রিপন ব্যাংক কর্মকর্তাকে স্বল্পমূল্যে রিয়ালগুলো কেনার জন্য প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয় ব্যাংক কর্মকর্তা। তারা রিয়াল কেনার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে যাত্রাবাড়ী থানার মাওয়া বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে। তাদের কথামতো ওইদিন সকাল আটটার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা নগদ ৫ লাখ টাকাসহ উল্লেখিত স্থানে যান।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর উল্লেখিত দু'জনসহ আরো একজন ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা ব্যাংক কর্মকর্তাকে সবুজ গামছা দিয়ে পেঁচানো একটি পোটলা দেয়। এবং বলে এর মধ্যে রিয়াল আছে। তিনি সরল বিশ্বাসে পোটলাটি নিয়ে যায়। বিনিময়ে তারা ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। তিনি পোটলা খুলে দেখেন এর মধ্যে কোন রিয়াল নেই, তার মধ্যে কাগজ ও একটি ভিম সাবান। তখন তিনি বুঝতে পারেন যে, অজ্ঞাতনামা তিনজন তার সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। ওইদিন ব্যাংক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শুরু করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে অপরাধীদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। রবিবার রাজশাহী ও গোপালগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের উল্লেখিত তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র: ডিএমপি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/৫ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা