বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হককে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর পার্ক মাঠে ষষ্ঠ জানাজা শেষে ব্যারিস্টার আমিনুল হককে ফাজিলপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার জানাযা নামাজে হাজারও মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দুপুর ২টায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে তার পঞ্চম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও হাজারও মানুষ তার জানাজায় অংশ নেন। এর আগে সকালে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মরদেহ ঢাকা থেকে গোদাগাড়ী পৌরসভার কেল্লাবারুইপাড়া মহল্লার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোদাগাড়ীর জানাজা নামাজের আগে বক্তব্য দেন তার বড় ভাই ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. এম এনামুল হক। এখানে জানাযা নামাজে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হারুন অর রশিদ, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম শাওয়াল, গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ অংশ নেন।ব্যারিস্টার আমিনুল হক রাজশাহী-১ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে জোট সরকারের দুই মেয়াদের প্রথমে প্রতিমন্ত্রী এবং সর্বশেষ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা সুপ্রিম কোর্টেরও সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার মৃত্যুতে গোদাগাড়ী-তানোরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব