বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ১৯ লাখ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। রবিবার বঙ্গবন্ধু বোটানিক্যাল গার্ডেনে ১ লাখ ২০ হাজার বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটলো।
ঢাকা থেকে অনলাইনে এই সমাপ্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, সামাজিক উন্নয়নে রাস্তার পাশে গাছ লাগানো সরকারের অন্যতম একটি লক্ষ্য। স্থানীয় লোকদের এই গাছের মালিকানার অংশ দেয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ও জনসাধারণ বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসছে।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে কাজিবাছা নদীর তীর ঘেষে ২৫৫ একর খাস জমিতে বোটানিক্যাল গার্ডেন (প্রস্তাবিত) গড়ে তোলা হবে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপসা’র ওআইএমসিএ ইন্টারন্যাশনাল জেডিবি জাপান, বাংলাদেশ কর্মসূচির সহযোগিতায় বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুর নামে বোটানিক্যাল গার্ডেনটির নামকরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে ইতোমধ্যে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ১২০ প্রজাতির বৃক্ষ দিয়ে গার্ডেনটি সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু বোটানিক্যাল গার্ডেনের বৃক্ষ নির্বাচনসহ অন্যান্য পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। গার্ডেনটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে অন্তত ২০ বছর সময় লাগতে পারে।
কাজিবাছা নদীর তীরে নির্মিত মঞ্চে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ সমাপ্তিকরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (অনলাইনে যুক্ত), খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জিএম আবুল কালাম আজাদ, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন