ঈদের আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে আবেগে কাঁদলেন খুলনার হতদরিদ্র ২৩৯টি পরিবার। ৩য় পর্যায়ে খুলনায় পাঁচটি ধাপে ৯০৬টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে ও ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ২৩৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে রূপসায় ১৪টি, তেরখাদা ৬৫টি, দিঘলিয়া ৩৫টি, ফুলতলায় চারটি, ডুমুরিয়ায় ৬৫টি, পাইকগাছায় ৩৬টি এবং দাকোপে ২০টি পরিবারের কাছে জমির দলিল ও ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, এর আগে মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা যায়, খুলনার তেরখাদায় উপজেলা পরিষদের হল রুমে ৬৫টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘর হস্তান্তর করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এসময় আবেগে উপকারভোগীর অনেকের চোখে পানি দেখা যায়। অনেকে নিজের সন্তানদের জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বক্তৃতা করেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপকারভোগীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা জেলায় ১ম পর্যায়ে ৯২২টি জমি ও ঘর দিয়ে পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ১ম পর্যায়ের জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ২য় পর্যায়ে ১৩৫১ টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১ম পর্যায়ে দেশের সকল জেলায় ৬৬১৮৯ টি পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত ও সেমি-পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ৫৩৩৪০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে দেশের সকল জেলায় ৬৫ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ