আসন্ন ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। তাই ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে এবং যানজট নিরসনে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা মোড়ে অতিরিক্ত ২০০ জন হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া পরিবহনগুলো আদায় করতে না পারে, সেজন্য সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। চন্দ্রাকে বলা হয় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার। এখান দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। প্রতি ঈদে চন্দ্রা মোড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া কোরবানি পশু ঢাকার হাটে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এই যানজট বাধার সৃষ্টি করে। কিন্তু এ বছর যাতে কোনো যানজট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভোগান্তি কমাতে ইতিমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নির্মাণাধীন সফিপুর ফ্লাইওভার ও ব্রিজগুলো আগের ঈদের ন্যায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন জানান, চন্দ্রা মোড়ে সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি ২০০ জন হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করবে। এছাড়া যাত্রীদের থেকে বাসের কাউন্টারগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। যাত্রী ওঠানামার জন্য পরিবহনগুলোর জন্য কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই