চেয়ারম্যান ছাড়াও সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৫ জন সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আগেই। এ কারণে আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই জনসাধারণের। তারপরও ৭ সাধারণ ও ২ সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচনের নিয়ম রক্ষার ভোটে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
সবগুলো কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দের সময় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একেএম জাহাঙ্গীর, সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে আইরিন রেজা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মুক্তি রানী দাস, ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে পিয়ারা বেগম (আগৈলঝাড়া), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (গৌরনদী) এইচএম হারুন অর রশীদ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে (উজিরপুর) অশোক কুমার হাওলাদারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা।
সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭টি সাধারণ ও ২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে। ৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪ জন এবং ২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। সদর উপজেলা, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত ১ হাজার ২৮৭ জন জনপ্রতিনিধি।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিরামহীনভাবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। বরিশাল সদর উপজেলার ভোট হবে জিলা স্কুল কেন্দ্রে। সব কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে। নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোতায়েন থাকছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারগণও (ভূমি) নির্বাচন তদারকী করবেন। ভোটগ্রহন শেষে ফল ঘোষণা করা হবে সার্কিট হাউজের কন্ট্রোল রুমে।
সুষ্ঠু সুন্দর ভোট করার জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের প্রায় সম সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন