শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইংলিশ অলিম্পিয়াডের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রথম ইংলিশ অলিম্পিয়াডের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ আয়োজন করা হয়। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ডওয়াইড অর্গানাইজেশন অ্যান্ড চ্যারিটি (ডব্লিউওসি) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এ আয়োজনকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয় বর্ণাঢ্য সাজে। সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা দিনভর গ্র্যান্ড ফাইনালের নানা আয়োজনে অংশ নেন। এতে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান।

সারা দেশের ক্লাস ওয়ান থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়টি গ্রুপ এ অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়। ছয়টি গ্রুপে সারা দেশ থেকে ৬০ জনকে বাছাই করে গতকাল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি গ্রুপে তিনজন করে ছয়টি গ্রুপ থেকে ১৮ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন অতিথিরা। কিডস্ গ্রুপে সারা দেশের ‘টপ টেন’ এ অবস্থান করা রাজশাহীর প্যারামাউন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কে এস উসাইদ হাবিব জানায়, বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে আমরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে চাই।

ড. আতিউর রহমান বক্তব্যে বলেন, দেশ এখন শক্তিশালী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। দেশ নিয়ে গর্ব করার অনেক বিষয় আছে। অনেক দুর্নীতি সত্ত্বেও দেশ হাঁটি হাঁটি পা পা করে এমন স্থানে পৌঁছেছে যে, দেশটিকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারও নেই। জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। হয়তো মানের ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে আছি, কিন্তু সংখ্যার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইংরেজি শেখা মানেই বাংলাকে অবহেলা করা নয়। বাংলার পাশাপাশি আমরা ইংরেজি শিখব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, পিতামাতার শাসনের জন্য বড় হয়েছি। ভালো অবস্থানে এসেছি। তাদের শাসন আমাদের জন্য প্রেরণা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ করতে হবে। এটি বড় হওয়ার অন্যতম একটি স্তম্ভ।

সর্বশেষ খবর