বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভূমি জরিপ নিয়ে হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না : মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘যেখানে হয় জরিপ, সেখানকার মানুষ হয় গরিব’-এমন উক্তি করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি জরিপের নামে মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সাধারণ মানুষকে সীমাহীন হয়রানি করছে। এতে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। এটা কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না। হয়রানির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উদ্যোগে গতকাল অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ‘ভূমি জরিপ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এতদিন উপর পর্যায় গুছিয়েছি, এবার মাঠ গোছাব’ উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৭ ধারা নোটিস জারির পর মাঠ পর্যায়ের কোনো কোনো অসাধু চক্র জমির মালিককে ভোগান্তিতে ফেলতে আরেকজনকে দিয়ে টাইটেল মামলা করায়। এখন থেকে ৭ ধারার নোটিস জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। শিগগিরই এ ব্যাপারে পরিপত্র জারি করতে যাচ্ছি।’

সবাইকে দ্রুত শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই অনিয়মের বিরুদ্ধে ঝটিকা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 ডিজিটাল জরিপ তিন বছরে আর সনাতন জরিপ পাঁচ বছরে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু ৩৫ বছরেও হয়নি। জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে কতটা বিলম্ব করা যৌক্তিক? আমার সঙ্গে কাজ করতে হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত সব সংস্থাকে আমার গতিতেই কাজ করতে হবে। আর কিছুদিন দেখব, তারপরও কাজে গতি না আসলে, হয়রানি বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যায় করে কেউ রেহাই পাবে না। আমরা জনগণের খাদেম। আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে জনগণের কাছে। সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।’

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক তসলীমুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আলীম আখতার খান। বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের প্রাক্তন মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর