বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে নতুন রুটে ঢুকছে ইয়াবা

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান

বিশেষ প্রতিনিধি

দেশে ইয়াবা আসার রুট পরিবর্তন হয়েছে। ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা এখন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আরও উত্তর দিকে এবং বাংলাদেশ সীমান্তের দক্ষিণ দিক দিয়ে ঢুকছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর কার্যক্রম জোরদার করার কারণে নাফ নদ হয়ে মিয়ানমার থেকে সরাসরি আসা ইয়াবার পরিমাণ গত এক বছরে অনেকটা কমেছে।

গতকাল ঢাকার পিলখানায় বিজিবি ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) উচ্চ পর্যায়ের সপ্তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। গতকাল ছিল পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিন।

 

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখবে এবং মিয়ানমার তাদের জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ নীতি অনুযায়ী মাদকবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। মাদক মিয়ানমারের সমাজেও একই প্রভাব ফেলছে বলে দেশটির প্রতিনিধি দল জানায়। তাই মাদক পাচার রোধে তারা ‘পূর্ণ সহযোগিতার’ আশ্বাসও দেয় বিজিবিকে।

বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারও অনেক ইয়াবা জব্দ করে তা ধ্বংস করেছে। আমরা তাদের মাদকবিরোধী অভিযান আরও বেগবান করার অনুরোধ জানিয়েছি। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, তাদের দেশের কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কিন্তু আমরা তাদের জানিয়েছি, এ ধরনের কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ এখানে নেই। আমাদের সরকার এদেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দেবে না, বলেন বিজিবি প্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উভয় পক্ষই যে কোনো ধরনের অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম বা প্রবেশ এবং সীমান্ত লঙ্ঘন রোধে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞতাবশত সীমান্তরেখা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও মতৈক্য হয়েছে। আন্তদেশীয় অপরাধ, অস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচার, পণ্য চোরাচালান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলি বা গুলি চালানোর ঘটনা যদি ঘটে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একে অন্যকে জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে বিজিবি ও বিজিপি।

সর্বশেষ খবর