বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়ক চার লেন হচ্ছে

মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে একটি প্রকল্পে পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবসহ মোট সাতটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার)-ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে প্রকল্পে পূর্তকাজ সম্পাদনের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হবে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া সভায় বিদ্যমান চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে সাড়ে চার লাখ টন ডিএপি সার আমদানিতে সায় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সার আমদানি করা হবে। সভায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি থেকে ১৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য কম্বি পার্সেল গ্যাস অয়েল ১৫ হাজার ২৭২ টন এবং ১৪ হাজার ৪০১ টন ডিজেল আমদানিতে সায় দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। সভায় ই-জিপি রিলেটেড ট্রেনিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দোহাটেক নিউ মিডিয়াকে নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ৪০ কোটি ১১ লাখ টাকা। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ধলেশ্বরী কম্পিউটারাইজড টোল প্লাজা করা হবে। এখানে আগে যা ছিল তার থেকে সামান্য কিছু, অর্থাৎ ৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি ভেরিয়েশন প্রকল্প। সব মিলিয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।’ এ ছাড়া বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্নকরণ, প্রকল্পের ড্রইং, ডিজাইন ও টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রণয়ন কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৩০ টাকা। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আমাদের টোল ব্যবস্থায় অটোমেশনসহ গাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হবে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় টোল প্লাজা অটোমেশন প্রকল্প রয়েছে। আজ যে প্রস্তাবটি এসেছে সেটি হলো সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ধলেশ্বরীতে কম্পিউটারাইজড টোল প্লাজা করা হবে। এটা ছোট প্রকল্প। এখানে আগে যা ছিল তার থেকে সামান্য কিছু ৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা ভেরিয়েশন প্রকল্প। আগে এ প্রকল্পটির কাজ চলছিল। নতুন করে টাকাটি দিলে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘পোস্তগোলা ও ধলেশ্বরী টোল প্লাজা অটোমেশন করা হবে। সম্প্রতি পোস্তগোলা গিয়ে বলে আসছিলাম টোল ব্যবস্থাপনা অটোমেশন করতে। হয় অটোমেশন করুন, না হয় টোল আদায় বন্ধ করে দিন। কিন্তু টোল আদায় বন্ধ করা যাবে না। টোল সারা দেশে নিতে হবে। টোল না নিলে আমরা যে রাস্তাঘাট করেছি তা রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে যাবে। টোল আদায় ব্যবস্থা সারা বিশ্বেই প্রচলিত আছে।’

যারা সারা বছর টোল দেয় তাদের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে কি না-  এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এদের বিশেষ ব্যবস্থা কী দেওয়া যায় এটা জানা নাই। তবে তারা তো সুবিধা পাচ্ছে। তারা যদি টোল দিত রাস্তা না পেত তাহলে কী অবস্থাটা হতো। এদের তো রাস্তা দিচ্ছি আমরা। পৃথিবীর সব দেশেই ঘর থেকে বের হলেই টাকা দেওয়া লাগে। আমাদের সেটা লাগে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর