মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

উচ্ছেদ করা হলো হাজী সেলিমের মদিনা ফিলিংয়ের একাংশ

আজ অভিযান ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্ছেদ করা হলো হাজী সেলিমের মদিনা ফিলিংয়ের একাংশ

পুরান ঢাকার লালবাগে ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্কুলের জন্য বরাদ্দ’ জমিতে হাজী সেলিমের গড়ে তোলা মদিনা ফিলিং স্টেশনের একাংশ গতকাল উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পুরান ঢাকার লালবাগে ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্কুলের জন্য বরাদ্দ জমিতে’ হাজী সেলিমের গড়ে তোলা মদিনা ফিলিং স্টেশনের একাংশ উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল সকালে কামালবাগ এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জানা গেছে, মদিনা ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশের গাড়ি ধোয়ার একটি ছাউনি এবং পশ্চিম পাশে গাড়ি মেরামতের একটি টিনশেড ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় হাজী সেলিমের দখলে থাকা একটি গুদামঘর। বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফিলিং স্টেশনের যতটুকু বিআইডব্লিউটিএ’র সীমানায় পড়েছে ততটুকু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় হাজী সেলিমের লোকজন ফিলিং স্টেশনে থাকলেও তারা কোনো ধরনের প্রতিবাদ করেননি। ফিলিং স্টেশনের সামনের দিকের পাম্পের শেডটি উচ্ছেদ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বিস্ফোরক অর্থাৎ তেলজাতীয় পদার্থ রয়েছে, তাই ভাঙা হয়নি। তারা নিজেই ভেঙে নেবেন বলে জানিয়েছেন। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য স্কুল ভবন ও বধির কমপ্লেক্স নির্মাণে ২০০৫ সালে লালবাগের কামালবাগ এলাকায় এক একর জমি বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। জমিটি সরকারের অকৃষি খাসজমি। এই জমিই ২০০৮ সালে দখলে নিয়ে হাজী সেলিম মদিনা ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা জানিয়েছে। এদিকে রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর নয় শতাধিক দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। জানা গেছে, মার্কেটের নকশার অনুমোদন না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা জনাব রাসেল সাবরিন। তিনি বলেন, এসব দোকান মার্কেটের নকশা বহির্ভূত স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। লিফট, সিঁড়ি, টয়লেট ইত্যাদির জায়গা দখল করে সেখানে দোকান তৈরি করা হয়েছে। ৯১১টি দোকান উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, দোকান মালিকদের দাবি, তারা এসব দোকান বন্ধক নেওয়ার জন্য সাঈদ খোকন মেয়র থাকাকালীন সিটি করপোরেশনকে লাখ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তের পর মাইকিং করে দোকানিদের আজকের মধ্যে দোকান ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়। স্বল্প সময়ের এ নোটিসে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন দোকানিরা। অভিযানের পূর্বে মাল গোছানোর জন্য আরও সময় দেওয়ার দাবি জানান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন উদয়ন মার্কেটের আশপাশ এবং গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর