বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের বন্ধ থাকা করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার (আরটি-পিসিআর ল্যাব) চালু করতে দুই থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। পিসিআর মেশিনের ফিল্টার ভাইরাসের কবলে পড়ায় শুক্রবার রাত ৯টা থেকে বরিশালে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সংগৃহীত করোনার নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আর বিদেশগামীদের নমুনা জরুরি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ভোলার পিসিআর ল্যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে মেশিন দূষণমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এতেও মেশিন দূষণমুক্ত না হলে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় পিসিআর মেশিন দূষণমুক্ত করা হবে।

জানা যায়, শুক্রবার পিসিআর ল্যাব দূষণমুক্ত করার পরও মেশিনের ফিল্টারে দূষণ থেকে যায়। এ কারণে ওই দিন রাত ৯টায় ল্যাবের প্রধান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে সাময়িক সময়ের জন্য পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানান। গতকাল সকাল থেকে ফের মেশিন ভাইরাসমুক্ত (দূষণ) করার কাজ শুরু হয়। এরপরও মেশিনের ভাইরাস দূর না হলে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের এনে দূষণমুক্ত করার কথা বলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম আকবর কবীর। এতে দুই থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর মেশিনে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মেশিনটি ঢাকায় নিয়ে মেরামত করা হয়। একে প্রায় এক সপ্তাহ বরিশালে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল।

গত বছর ৯ এপ্রিল বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু হয়। এ পর্যন্ত এই ল্যাবে ৫২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।