জাতীয় চিড়িয়াখানায় এক জলহস্তী বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। গত বুধবার দুপুরে জন্ম নেয় জলহস্তীর ওই বাচ্চা। তার নাম রাখা হয়েছে ‘বকুলপরী। মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুই যুগেরও বেশি সময়ের বাসিন্দা মা জলহস্তীর জন্ম সুদূর আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। এ নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় জলহস্তীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। এর মধ্যে দুই জোড়া জলহস্তী স্থানান্তর করা হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিড়িয়াখানায় আসা শিশুদের অন্যতম আকর্ষণ জলহস্তী। ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. আবদুল লতিফ নতুন অতিথি আসার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিড়িয়াখানায় আবদ্ধ অবস্থায় থাকা এ ধরনের প্রাণীর বাচ্চা জন্মের ঘটনা বিরল। জলহস্তী তৃতীয় বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটি আফ্রিকার সাব-সাহারান এলাকায় পাওয়া যায়। এরা তৃণভোজী প্রাণী। এদের আয়ুষ্কাল ৪০ বছর। সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর বয়েসে বয়োপ্রাপ্ত হয়। সাত থেকে আট মাস পেটে ধারণ করার পর এরা একটি বাচ্চা দেয়। এদের শরীর থেকে রক্তের মত ঘাম বের হয় যা ময়েশ্চারাইজার, যা সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এবং জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এরা স্থলে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। দিনে জলে রাতে ডাঙায় থাকে এরা। এরা খুবই হিংস্র প্রাণী। তাই জলহস্তির কাছে কখনো যেতে নেই বলে জানান ডা. আবদুল লতিফ।
চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে বৃহৎ প্রাণিশাখার (তৃণভোজী) অ্যানিমেল কেয়ারটেকার ওই জলহস্তিকে খাবার দিতে গিয়ে বাচ্চা দেখতে পান। চিড়িয়াখানার কিউরেটর গণমাধ্যমকে জানান, আফ্রিকার নদ ও হ্রদে এ ধরনের জলহস্তির বসবাস। এদের ওজন দেড় থেকে আড়াই টন। স্থূল নরম ও লোমবিহীন শরীর ও পা শরীরের তুলনায় বেশ ছোট হয়। দেড় থেকে চার মিটার উচ্চতার এ প্রাণীর মুখে বড় দুটি দাঁত থাকে। এরা ভালো সাঁতারু ও বেশির ভাগ সময় পানিতে কাটায়। খাবারের সময় ডাঙায় উঠে আসা জলহস্তি তৃণভোজী প্রাণী। এর অন্য নাম রিভার হর্স। সবুজ ঘাস ও শাকসবজি এদের প্রধান খাদ্য।