মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি মামলা

কার্গো জাহাজের পাঁচজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবিয়ে মানুষ হত্যা মামলায় কার্গো জাহাজ ‘এমভি-এসকেএল-৩’ থেকে গ্রেফতার পাঁচজন রিমান্ডে তাদের দোষ স্বীকার করলেও গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কার্গো জাহাজ দিয়ে লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেওয়ার দোষ স্বীকার করেছিলেন। তবে তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি।

৮ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে কার্গো জাহাজটি থেকে বিভিন্ন স্তরের ১৪ কর্মচারীকে আটক করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তাদের নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশে অর্পণ করা হয়। মেঘনা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা হয় জাহাজটিকে।

৯ এপ্রিল দুপুরে ১৪ জনকে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপপরিচালক বাবুলাল বৈদ্যের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় নৌপুলিশ। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে দুই দিন মঞ্জুর করে আদালত। বাকি নয়জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাজের মাস্টার অহিদুর জামান (৫০), ইঞ্জিন ড্রাইভার মজনু মোল্লা (৩৮), সুকানি আনোয়ার মল্লিক (৪০), গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার (২০) ও ফারহান মোল্লা (২৭)। কারাগারে পাঠানো হয়েছে জাহাজ থেকে আটক লস্কর রাজীবুল ইসলাম (২৭), মো. আবদুল্লাহ (২০), নূরুল ইসলাম (৩৫), সাকিব সরদার (২০), আফসার (১৮), সাগর হোসেন (১৯), আলিফ শেখ (১৯) ও বাবুর্চি আবুল বাশার শেখকে (৩৮)।

উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজটি ধাক্কা দিয়ে অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ লঞ্চ ‘এমভি সাবিত আল হাসান’কে ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর