মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি, করোনা আরও ছড়ানোর আশঙ্কা

প্রতিদিন ডেস্ক

মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাজশাহীর মার্কেটে নারী ও শিশুদের ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মার্কেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ক্রেতারা। বিভাগীয় শহরের মার্কেটগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম : সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার কথা বললেও চট্টগ্রামের রেয়াজ উদ্দিন বাজার, টেরি বাজার, হকার মার্কেট, চকবাজার, রাইফেল ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়। দীর্ঘদিন মহিলারা ঘরেই এক প্রকার বন্দীর মতো থাকার পর মার্কেটগুলোতে এসেছেন যেন আলোর মুখ দেখেছেন। মার্কেটে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তারা। এমন কথা বললেন চট্টগ্রামের ঐহিত্যবাহী মার্কেট রেয়াজ উদ্দিন বাজারে আসা শামিমা ইসলাম নামের একজন মহিলা।

তিনি বলেন, করোনার কারণে লকডাউন দেওয়ায় চট্টগ্রামের সব মার্কেট বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলোও কেনা হয়নি। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও ঘরের জরুরি জিনিসপত্র কিনতে রেয়াজ উদ্দিন বাজারে এসেছি। টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান বলেন, ক্রেতারা মার্কেটে আসা শুরু করেছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলার জন্য বাজার সমিতির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। ধীরে ধীরে ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছেন। এখানে প্রত্যেক ক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুব্ধ করছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে প্রায় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়। কিছু কিছু মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অনেক মার্কেটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। অনেককে শপিং ব্যাগের পাশাপাশি মাস্কও হাতে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। আবার কিছু কিছু বিক্রেতাকে মাস্ক মুখে না দিয়ে কানের এক পাশে ঝুলিয়ে রেখে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। মার্কেটগুলোর মধ্যে টেরীবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্টাাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি  সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারসহ আরো বেশ কয়েকটি।

রাজশাহী : স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল দশটা থেকে বিপণিবিতান খোলার কথা থাকলেও সকাল ৯টার আগেই অনেকে দোকান খুলেছেন। বেলা যত গড়িয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি ততই উধাও হয়েছে। ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও আগের দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা বেশি ছিল। নগরীর আরডিএ মার্কেট, নিউ মার্কেটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। দোকানদাররা প্রস্তুতি রাখলেও ক্রেতাদের মধ্যেই ছিল না সচেতনতা। আরডিএ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনুরোধ করছি। তবে ভিড় থাকায় সেটি কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা মনিটরিং করছি।’

রংপুর : ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখার ঘোষণায় রংপুরে  দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানজটও। নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের প্রহরায় দেখা গেছে শিথিলতা। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সোমবার বিকালে নগরীর সিটি বাজার, সেন্টাল রোড, জিএলরায় রোড, স্টেশনরোডসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগে রয়েছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এ ছাড়া কাঁচা বাজার ও ইফতারের দোকানগুলোতে গত কয়েকদিনের তুলনায় ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অপ্রয়োজনের রাস্তার মোড়ে মোড়ে লোকজনের সমাগম ছিল বেশি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর