শনিবার, ১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কৃষ্ণচূড়া সোনালুতে রঙিন কুমিল্লা নগরী

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কৃষ্ণচূড়া সোনালুতে রঙিন কুমিল্লা নগরী

কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুলের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী। গ্রীষ্মের এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু তার আগুন রূপ ছড়াচ্ছে। ফুলের সৌন্দর্যে চোখ জুড়াচ্ছে পথচারীরা। নগরীতে কয়েক বছর আগেও গ্রীষ্মে লাল কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ সোনালু ফুলের আধিক্য ছিল কুমিল্লার প্রকৃতিতে। তবে এখন ফুল গাছ অনেক কমে গেছে। এখন নগরীর ধর্মসাগর দিঘির উত্তর পাড়, নগর উদ্যানের উত্তর পাশে, স্টেডিয়ামের সামনে, জিলা স্কুলের সামনে, সিটি করপোরেশনের সামনে, নিউ হোস্টেলের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়ার ফুল নজরে পড়ে। এদিকে সোনালু ফুল নগরীতে নেই বললেই চলে। কয়েক বছর আগেও নগরীর রামঘাটলা এলাকায় সোনালু ফুল দেখা গেছে। কাপ্তান বাজার এলাকায় এবার কিছু সোনালু ফুল দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছ লাগিয়ে নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন করার দাবি নগরবাসীর। কুমিল্লা সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার কবি ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা নগরী বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছে ভরপুর ছিল। সেই গাছগুলো অনেক কমে গেছে। কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের পাশে জিলাপি জাতীয় ফল গাছ ছিল। এ ছাড়া অনেক শিমুল গাছ ছিল। মানুষের মন বিভিন্ন কারণে বিষণœ হয়।  কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুলের রঙে চোখ রাখলে তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। কৃষ্ণচূড়ার লাল, পলাশের লাল হলুদ, সোনালুর হলুদ ও জারুলের বেগুনি ফুল বন ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সহযোগিতা চাইলে আমরা গাছ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করব।

সর্বশেষ খবর