বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ওসমানী হাসপাতাল ঘিরে নতুন পরিকল্পনা

দ্বিগুণ হচ্ছে শয্যা, দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন, বসছে নতুন অক্সিজেন প্লান্ট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট বিভাগের ১ কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার ভরসাস্থল এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। উন্নত সেবার জন্য সিলেট বিভাগের চার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এখানে ছুটে আসেন অসুস্থরা। হাসপাতালটির সেবার মান বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। হাসপাতাল ঘিরে গৃহীত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণকরণ, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, নতুন ভবন নির্মাণ, হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট চালু। আগামী ৩০ বছরের সেবার চাহিদা মাথায় রেখেই এ পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও চিকিৎসাসেবা বাড়ানোর কাজে হাত দেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। গত রবিবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওসমানী হাসপাতালকে নিয়ে তাঁর নেওয়া উদ্যোগের কথা জানান। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওসমানীকে দেশসেরা হাসপাতালে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। হাসপাতালসূত্র জানান, ৯০০ শয্যার ওসমানী হাসপাতালকে ২ হাজার শয্যায় উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অক্সিজেন সেবায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হাসপাতালে ১০ হাজার লিটারের প্লান্ট স্থাপন, শাহী ঈদগাস্থ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের স্থলে ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি শিগগিরই প্রস্তাব আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, বর্তমানে হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়েই ৯০০ শয্যার সেবা কার্যক্রম চলছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী রোগীর চাপ কমাতে পুরনো বিল্ডিংয়ে ৫০০ শয্যা রাখা হবে। পুরনো ভবনের সামনের নতুন আউটডোর ভবনে বসানো হবে ৪০০ শয্যা। ওই ভবনে স্থানান্তর করা হবে মেডিসিন বিভাগের কার্যক্রম। আর বাকি ১১০০ শয্যার জন্য হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভিতরে ডান পাশে ১৭ তলা একটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভবনটির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ডা. হিমাংশু লাল আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালে দুটি রিজার্ভারে ৩০ হাজার লিটার অক্সিজেন মজুদ রাখা হয়।

 নিজস্ব প্লান্টে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা গেলে আর বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে অক্সিজেন কিনে এনে মজুদ করা লাগবে না। বর্তমানে হাসপাতালে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার লিটার অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে। নতুন প্লান্ট হলে হাসপাতালটি ২ হাজার শয্যায় উন্নীত হলেও অক্সিজেনের সমস্যা হবে না।

তিনি জানান, শাহী ঈদগাস্থ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের জায়গায় ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণপূর্ত বিভাগকে নতুন ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই স্থানে ওসমানী হাসপাতালের বিশেষ একটি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর