বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
করোনাভাইরাস

চট্টগ্রামে হাই ফ্লো অক্সিজেন সংকট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আরাফাতের (ছদ্মনাম) চলছে ৩০ থেকে ৪০ লিটার অক্সিজেন। তবে রোগের তীব্রতায় তার প্রয়োজন হাই ফ্লো অক্সিজেন কিংবা আইসিইউ সাপোর্ট। কিন্তু হাসপাতালে এর কোনোটিই খালি নেই। অক্সিজেন সংকটের মুখেই তিনি মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালগুলোতে হাই ফ্লো অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন সংকটে মারা যাচ্ছেন রোগী। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই খালি নেই আইসিইউ কিংবা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। ফলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অনেকেই অসহায় হয়ে করোনার কাছে পরাজিত হচ্ছেন।

জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরই ৯০ শতাংশ রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে হাই ফ্লো অক্সিজেন কিংবা আইসিইউ শয্যার। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ দুটি উপকরণের চরম সংকট। চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে ৪৩টি।

 হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে ৪৭টি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আছে ৬৯টি এবং ভেন্টিলেটর আছে ৩৮টি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা আছে ১১৯টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে ১২৪টি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আছে ২৪টি এবং ভেন্টিলেটর আছে ৪টি। এরপরও চলছে চরম সংকট। জানা যায়, হাসপাতালগুলো থাকা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার অনেকগুলোর চলে গেছে ওয়ারেন্টি ডেট। তাছাড়া কিছু নষ্টও হয়েছে। ফলে আশানুরূপ সাপোর্ট মিলছে না। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, আক্রান্ত হওয়ার পরই রোগী সংকটাপন্ন হয়ে যাচ্ছে। রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরের দৃশ্য দেখলে মনেই হবে না দেশে করোনা নামে কিছু আছে। কিছু মানুষ এতই বেপরোয়া। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা বলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীই খারাপ অবস্থা হওয়ার পর হাসপাতালে আসছে। ভর্তির পরই দরকার হচ্ছে হাই ফ্লো অক্সিজেন কিংবা আইসিইউ। কিন্তু এত বেশি হাই ফ্লো নেই হাসপাতালে। চোখের সামনেই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। তাই কারও কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জানা যায়, চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর