রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হবে : এ কে আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ লুট করেছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে হবে। ই-কমার্স ব্যবস্থাপনায় বিশেষায়িত সেল গঠন ও সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি। গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ‘ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ’ বিষয়ক ছায়া সংসদে বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

এ কে আজাদ বলেন, দেশে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার হলেও আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতি ও পরিবীক্ষণ না থাকায় এ সেক্টরে জবাবদিহিতা গড়ে ওঠেনি। কিছু সংখ্যক মুনাফালোভী প্রতারক অস্বাভাবিক লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শত শত কোটি টাকা লুট করছে। দিন শেষে অনলাইন পণ্য কেনার নামে প্রতারণার শিকার গ্রহকদের সংখ্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সার্বিকভাবে এ খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষায়িত সেল গঠন জরুরি।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কোম্পানি আইন, ট্রেড লাইসেন্স আইন বা আয়কর আইনে ই-কমার্স হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে নিয়োজিত ৩০ থেকে ৪০% প্রতিষ্ঠান কোনো ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসা বন্ধ করে আত্মগোপন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর