খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সব দিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার পুষ্টি নিরাপত্তায় নজর দিতে হবে।’ গতকাল রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘মিডিয়া স্যানিটেশন ওয়ার্কশপ অন পার্টিসিপেশন অব বাংলাদেশ ইন দ্য ইউএন সিস্টেম সামিট’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যসচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন বক্তব্য রাখেন।

 স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে  হতো। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সব দিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে। আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে পিছিয়ে থাকব। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজনমাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে। ফুড সাপ্লাই চেইন ঠিক রেখে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয়।

খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম বলেন, ‘আমরা একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবার মধ্যে খাদ্য সচেতনতা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অনেকেই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের (ব্যালান্সড ডায়েট) সঠিক নিয়ম জানি না। আবার অনেকেই জেনেও তা মানি না। এসব বিষয়ে সচেতনতা দরকার।’