মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

চসিকের খাল খনন কবে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের খাল খনন কবে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি নতুন খাল খননের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন খাল খননে ৩২৬ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদন হয়। কিন্তু সাড়ে সাত বছর পার হলেও চসিক এখনো খাল খনন কাজ শুরুই করতে পারেনি। বরং প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। চতুর্থ দফায় ব্যয় সংশোধন হয়ে এখন প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। তবে চসিক ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘আনুষ্ঠানিকতা-নির্ভর’ খাল খননের প্রকল্পটি উদ্বোধন করে। কিন্তু উদ্বোধনের পর কোনো ভৌতিক কাজই হয়নি। অভিযোগ আছে, চসিকের একজন প্রকৌশলী খাল খনন নিয়ে ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে যত বিলম্ব হয় তত লাভ’ নীতি নিয়ে চরম ধীরগতিতে কাজ করছেন। প্রকল্প অনুমোদনের পর দীর্ঘদিন পার হলেও ভূমি অধিগ্রহণও হয়নি। ফলে আলোর মুখ দেখছে না নতুন খাল। ডুবছে নগর। বাড়ছে অন্তহীন ভোগান্তি। জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রণীত নগর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন একটি খাল খননের কথা বলা হয়। ২০১৪ সালে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটি খালের জন্য ৩২৬ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ২০১৭ সালের জুনে নতুন খাল খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কাজই হয়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে ফের প্রকল্পটি সংশোধন করে ব্যয় উন্নীত হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকায়। সময় বৃদ্ধি করা হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এবারও কাজটি আলোর মুখ দেখেনি। ২০২০ সালের জুন মাসে ফের প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চসিক ভূমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসনকে চার বছর আগে ৯১১ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।

চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম বলেন, ‘ভূমি জটিলতার কারণে খাল খনন কাজটি আটকে আছে। চার বছর আগেও জেলা প্রশাসনকে ভূমি অধিগ্রহণে ৯১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ কাজ সহজ করতে পৃথক পাঁচটি এলএ মামলাও করা হয়েছে। তবু কাজটি শুরু করা হয়নি। তবে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।’

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি, প্রকল্পের কাজও শুরু হয়নি। প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন মৌজায় অধিগ্রহণ করতে হবে ২৫ দশমিক ১৬ একর ভূমি। নতুন খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল-শাহ্? আমানত সংযোগ সেতু রোড-নুরনগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার, প্রস্থ ৬৫ ফুট। খালটির মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে উভয় পাশে ২০ ফুট করে দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর