রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন খুনে মৃত্যুভয় দেখিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার মশিয়ালীতে তিন খুনের মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ করেছেন আসামি                পক্ষ। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শেখ জাফরিন হাসান এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রিমান্ডে নেওয়ার পর এক ধরনের ড্রপ দিয়ে চোখ অন্ধ করে দেওয়া, ক্রসফায়ারের ভয় ও স্ত্রীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দাবি করে ডিবি পুলিশ যে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে তাও তাদের নয়। এমনকি সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। বরং ঘটনার পর দুই দফায় ১৯ দিন রিমান্ডে রাখার পর পুলিশ তাকে বলেছে ‘ওপরের চাপ সামলাতে নিজেরাই দুটি অস্ত্র দিয়ে আমাকে চালান দিচ্ছে।’ শেখ জাফরিন হাসান জানান, ঘটনার পর থেকে খানজাহান আলী থানার ওসি শফিক ছদ্মবেশী রূপ নিয়েছেন। মূলত তার উসকানিতেই গ্রামবাসী ওই রাতে তাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় গ্রামবাসীর নিজেদের গুলিতেই তিনজন নিহত হয় এবং তার আত্মীয় জিহাদ শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জামিনে বের হওয়ার পর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে গত ১১ ও ১৬ জানুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এদিকে মশিয়ালী গ্রামবাসী জানায়, ২০২০ সালে ১৬ জুলাই রাতে জাফরিন-জাকারিয়াদের গুলিতে মশিয়ালী গ্রামের নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল ও সাইফুল ইসলাম নিহত হয়।

এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আরও ১০ জন। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জাফরিনদের আত্মীয় জিহাদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ও জাকারিয়াদের বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়া মামলার ১৭ জন আসামি তিন খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রামবাসী জানান, সম্প্রতি ওই মামলার আসামি শেখ জাফরিন তার ভাই জাকারিয়া ও মিল্টনসহ মামলার অধিকাংশ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এরপর থেকে গ্রামবাসীকে হুমকি ও পাল্টা মামলায় আসামি করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর