শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার

রমজান মাসে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে অস্থিরতা ভোগ্যপণ্যের বাজারে। প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি হলেও প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের জিনিসপত্রগুলো ক্রয় করতে হচ্ছে। ঠিক একই রকম চিত্র দেখা গেছে সবজির বাজারেও। চট্টগ্রামে সবজির বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রেও উঠেছে চড়া দাম। নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের স্বাভাবিক ক্রয়ক্ষমতা বা নিত্যদিনের সবজিসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনতে রীতিমতো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে জানান সাধারণ ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, কাজীর দেউড়ি, ২ নম্বর গেট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকলেও চলমান রমজানের অজুহাতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে মুরগি, মাছ এবং মাংসের দামও। নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। অন্যদিকে স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। এ ছাড়া রয়েছে সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, লেয়ার ২৫০-২৬০ টাকা। কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ টাকা, গাজর ৫০-৬০, শসা ৫০-৮০, টমেটো ৩০, কাঁচামরিচ ৬০, মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি ৫০, কাঁকরোল ১৪০, শিম ৫০, ঝিঙা ৫০, ঢেঁড়স ৮০, পটোল ৬০ ও বরবটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট দেশি আলু ৫০ ও বড় আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০ ও খাসির মাংস ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রুই মাছ ১৮০-৩০০, কাতলা ২২০-৪০০, তেলাপিয়া ১৬০-২২০, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চড়া রয়েছে সাগরের মাছের দাম।  কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা সরোয়ার বলেন, সবজির বাজারে রীতিমতো দাম নিচ্ছে অনেক বেশি। দাম শুনলে সাধারণ ক্রেতারা পছন্দের জিনিস কিনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সবজির দাম স্বাভাবিক দামে থাকলে সবার কিনতে সুবিধা হবে। বহদ্দারহাটের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে সবজি ক্রয় করতে হয়, তাই খুচরা ক্রেতাদের মাঝে একটু বেশি দামেই সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতি বছরের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এখানে ভোগ্যপণ্যের দামের মতো সবজির বাজারেও বিভিন্ন জিনিসপত্রের দামে আগুন ধরেছে।

 এখানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় দাম বৃদ্ধির কারণে এসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা। প্রতিটি জিনিসের সরবরাহ ঠিক থাকলেও রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই হচ্ছে। তবে প্রশাসনিকভাবে কঠোর হস্তক্ষেপ করলে বা বাজার মনিটরিং করলে দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর