বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্নীতির কারণে বাজেটের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব দাবি বিরোধী দলের

উন্নত দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছি মন্তব্য সরকারি দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, সারা বিশ্ব যখন করোনার ধাক্কায় টালটামাল সে সময়ও প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিমত্তায় আমাদের অর্থনীতি ঠিক ছিল। আমরা প্রতিটি বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। এখনো আমাদের অর্থনীতির সব কর্মকাণ্ড সচল আছে। বিরোধী দলের সদস্যরা বলেন, আয় কমেছে ব্যয় বাড়ছে, বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাজেটের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের উন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বাজেটে এডিপি বর্ধিত করে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের গতকালের বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটরে ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মমতাজ বেগম, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, গণফোরামের মোকাব্বির খান। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনাকালে চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিমত্তায় বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে হেনস্তা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। মমতাজ বেগম গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জি এম কাদের বলেন, আয় কমেছে ব্যয় বাড়ছে, দক্ষতার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাজেটের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও উন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপি বর্ধিত করে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। মোকাব্বির খান বলেন, বাজেটে অর্থ পাচারকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। কর দিয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে মানি লন্ডারিং আইন বাতিল করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর