বরিশালের তিন নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় তলিয়ে যাচ্ছে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। অমাবস্যার জোর প্রভাবে সাময়িক পানি বৃদ্ধি পেলেও সহসাই পানি কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার। গতকাল সকালে প্রেরিত বরিশাল পাউবোর হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ভোলার তজুমদ্দিন পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই দিন বেলা পৌনে ১২টায় বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইদিন বরিশাল বিভাগের কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করে। মঙ্গলবার ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করে ৩.৪০ মিটার উচ্চতায়, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঝালকাঠি পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়ীশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদের পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং মহানগরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় প্রতিদিন দুবার ডুবছে বরিশালের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। আবার ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ওইসব এলাকায় জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, অমাবস্যার জোর প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে পানি বাড়ার কোনো পূর্বাভাস নেই। সহসাই নদীর পানি কমে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।