বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বৈঠা উঠছে কার হাতে?

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন হবে ২৭ এপ্রিল। বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় নৌকা প্রতীক যিনি পাচ্ছেন- তার জয় প্রায় নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ কারণে নৌকার বৈঠা কার হাতে উঠছে- সেটা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। গত সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের জন্য ২৭ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, গত সোমবার সকাল ১০টায় মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিন ১৩ জন, দ্বিতীয় দিন ১২ জন ও সর্বশেষ বুধবার (২২ মার্চ) দুজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। আগামী শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভা হওয়ার কথা আছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর এই আসন থেকে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলে এমন গুঞ্জন ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি দলীয় মনোনয়ন কেনেননি। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, তিনি এখনো পর্যন্ত দলের সিগনালের অপেক্ষায় আছেন। দলীয় প্রধান চাইলে তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে রাজি। তবে দল না চাইলে তিনি নির্বাচনে যাবেন না। চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে নগর ও গ্রাম উভয় এলাকার ভোটার রয়েছেন। এ কারণে এই আসন থেকে নগর, উপজেলা ও দক্ষিণ জেলার অনেক নেতা মনোনয়ন চাচ্ছেন। নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম, প্রয়াত দুই এমপির স্ত্রী শিরিন আহমেদ ও সেলিনা খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ (রবি), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল কাদের, সাবেক সহসভাপতি এস এম আবুল কালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সেকান্দার হায়াত খানের ছেলে আশেক রসুল খান দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ী সুকুমার চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এস এম কফিল উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য মো. হায়দার আলী চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জাহেদুল হক, নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ মনছুর আলমসহ ২৭ জন প্রার্থী দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো- বিপুল সংখ্যক প্রার্থী এই আসন থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন, যাদের মধ্যে অনেকে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের তৃণমূলের রাজনীতিতে জড়িত। ২৭ জন মনোনয়নপ্রার্থীর মধ্যে চারজন আছেন ওয়ার্ড পর্যায়ের ও একজন থানা পর্যায়ের নেতা। এ ছাড়া নগর, দক্ষিণ, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকটি উপকমিটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। ২৭ এপ্রিল এই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আগ্রহী প্রার্থীদের ২৭ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ২৯ মার্চ মনোনয়নপত্র বাছাই, ৫ এপ্রিল প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ৬ এপ্রিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর