সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

দলবেঁধে ইফতার ক্যাম্পাসে

নাসিমুল হুদা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

দলবেঁধে ইফতার ক্যাম্পাসে

আত্মিক পরিশুদ্ধির মাস রমজান। বছর ঘুরে এ মাসের আগমনে যেন অন্য রূপ নেয় দেশের জ্ঞানচর্চার তীর্থস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে ইফতারের সময় এলে চারদিকে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। সারা দিনের সিয়াম সাধনা শেষে দলবেঁধে ইফতারে শামিল হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে যেন নেমে আসে আধ্যাত্মিক এক পরিবেশ। প্রতি বছর রমজানে সাহরি, ইফতার, তারাবি-সব মিলিয়ে উৎসবমুখর এক পরিবেশ বিরাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। ছোট-বড় দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এসব ইবাদতে। এর মধ্যে সম্মিলিত ইফতার আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়েছে।

সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস ঘুরলেই চোখে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো, টিএসসি, মল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে সবুজ ঘাসের ওপর পাটি বা কাগজ বিছিয়ে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, বিভিন্ন ধরনের চপ, সঙ্গে নানা ধরনের মৌসুমি ফল আর শরবত- এখানে ইফতার প্রস্তুতির নিয়মিত অনুষঙ্গ। সাধারণত ব্যক্তি বা দলগত উদ্যোগে এসব আয়োজন করা হয়। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগেও মাসজুড়ে ইফতারের আয়োজন করা হয়। হলগুলোতেও উৎসবমুখর পরিবেশে ইফতারের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। বাড়তি লাভের জন্য হলের ক্যান্টিন ও দোকানগুলোতে পুরো রমজানজুড়ে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। শিক্ষার্থীরা হলে নিজেদের কক্ষে কিংবা হলের আশপাশের সবুজ মাঠে দলগতভাবে ইফতার করতে বসে যান।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিবার ছেড়ে আসা এসব শিক্ষার্থীর কাছে ইফতারের এমন আয়োজন বাড়তি অর্থ বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী রায়হান হক বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে রমজান কাটানোর আনন্দ অন্যরকম। কিন্তু পরিবার থেকে দূরে থাকায় সে সুযোগ নেই। তবে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে ইফতার করে সেই আনন্দ উপভোগ করছি।’ তবে নিজের বাড়ির পর ক্যাম্পাসকেই নিজের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ মনে করেন সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বন্ধু-বান্ধবরাও ক্যাম্পাসে একটা বড় পরিবারের মতো। এখানে সবাই মিলে ইফতার করা, তারাবি নামাজ পড়া, সাহরি করা-সবকিছু পরিবারের থেকে রমজান পালনের মতোই উপভোগ্য’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর