সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
নিউইয়র্কে ফরিদা ইয়াসমিন

স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দূতাবাস ও মিশনের সরব হওয়া উচিত

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দূতাবাস ও মিশনের সরব হওয়া উচিত

বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন নিউইয়র্কে প্রবাসীদের এক সমাবেশে বলেছেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে দূতাবাস এবং মিশনগুলোকে আরও বেশি তৎপর হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিক এবং মার্কিন প্রশাসনের নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে একাত্তরে পাকিস্তানী হায়েনাদের জঘন্য বর্বরতার বিষয় তুলে ধরা এবং এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ এবারের ২৫ মার্চে ওয়াশিংটন দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন অথবা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে তেমন কিছু দেখলাম না। নিজেরাই আলোচনা এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মাহফিলে মিলিত হলেন। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমি আশা করছি কূটনীতিকরা সামনের দিনগুলোতে যথাযথ ভূমিকা পালনে দ্বিধা করবেন না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের টানা দুই দফা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনের পর টানা দ্বিতীয় টার্মের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস রচনাকারী ফরিদা ইয়াসমিন সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে উল্লেখ করেন, দলমত নির্বিশেষে এমন সমাবেশের প্রয়োজন ছিল ভীষণ। জাতিসংঘের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কে গণহত্যা দিবসের সর্বজনীন সমাবেশ করার জন্য আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব (এবিপিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবিপিসির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে গুলশান টেরেসের এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মঞ্জুর আহমেদ, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, মূলধারায় প্রবাসীদের পথিকৃৎ মোর্শেদ আলম, কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আবদুল কাদের মিয়া, নিউইয়র্ক কনস্যুলেট জেনারেলের প্রতিনিধি কনস্যুলেটের হেড অব চ্যান্সেরি ইশরাত জাহান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) নাসিরউদ্দিন এবং প্রবাসের মুক্তচিন্তার লেখক ফকির ইলিয়াস। বক্তারা ২৫ মার্চের গণহত্যার রোমহর্ষক বিবরণ উপস্থাপনের পর বিশ্বে অন্যতম প্রধান এই জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনা করেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং এবিপিসির সেক্রেটারি মো. আবুল কাশেমের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবিপিসির যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফারুক এবং ইফতারের প্রাক্কালে দোয়া-মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন ইমাম কাজী কায়্যুম। ‘ইফতার মাহফিল’ শীর্ষক এ সমাবেশে কমিউনিটির সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরা ছিলেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে এসেছিলেন এবিপিসি ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্য-কর্মকর্তা ছাড়াও গণমাধ্যমের কর্মীরা। নতুন প্রজন্ম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারাও সরব ছিলেন। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন মুমিত ফুয়াদ, নুরুল আজিম, ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক, মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভূঁইয়া, ইউএসবিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি মামুন রাশেদ, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, কমিউনিটি লিডার মোর্শেদা জামান, লেখক রাজু আহমেদ মোবারক, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, শাহানারা রহমান, মনসুর আহমেদ, মিয়া আলিম পাখী, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার শেখ শাহজাহান প্রমুখ।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর