শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি স্বাধীনতা সচেতন নাগরিক সমাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর আলোচিত সেই প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকাটিকে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়েছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজ। সেই সঙ্গে পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিল, ওই সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ‘চক্রান্তকারী’ আখ্যা দিয়ে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সাবেক সিনিয়র সচিব ও কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল মালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক  নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী তারিন জাহান, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তানভিন সুইটি, শাহেদ শরীফ খান, শামীমা তুষ্টি, কণ্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, আহসানুল হক মিনু, আনজাম মাসুদ, শাহেদ শরীফ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একটি বিশেষ পটভূমি তৈরির উদ্দেশ্যেই স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন ধরনের উসকানি ও সাম্প্রদায়িক মদদ দেওয়ার জন্যই প্রথম আলো স্বাধীনতা দিবসে আলোচিত সেই সংবাদ ও আলোকচিত্র প্রচার করেছিল। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রচারিত সংবাদকে শুধু অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা বলা যাবে না; এর মাধ্যমে আঘাত এসেছে আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদার ওপরে। স্বাধীনতা দিবসে যেভাবে একটি খবর পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এ খবরটি করা হয়েছে অত্যন্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবে।

সর্বশেষ খবর