শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে সূর্যমুখী চাষে সম্ভাবনা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে সূর্যমুখী চাষে সম্ভাবনা

সূর্যমুখী চাষে সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে পাহাড়ে। সূর্যমুখীর তেল আর খৈলের চাহিদা এখন সবখানে। রাঙামাটির ১০টি উপজেলায় এখন সূর্যমুখী চাষাবাদ করছে চাষিরা। তাই তো সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে সবুজ পাহাড়। ভোর হলেই সোনা রোদে চোখ মেলে ঝলমলে সূর্যমুখী। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মাইলের পর মাইল দিগন্ত বিস্তৃৃত  খেতে সূর্যমুখীর চাষ। এ ফুলে আকর্ষণ কেড়েছে স্থানীয়দের। বাজারজাত হচ্ছে সূর্যমুখী তেল ও খৈল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাহাড়ে কৃষি জমিতে তামাকের অগ্রাসন কমাতে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের। রাঙামাটি কৃষি বিভাগ বলছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। জেলার প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে এ সূর্যমুখী। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪১ মেট্রিকটন ভোজ্যতেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত উফশী হাইসান-৩৩, বারি-২ ও ৩। হাইসন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার সবচেয়ে বেশি নানিয়ারচর উপজেলা ও বরকলের হরিণা ও ভূষণছড়া, অ্যারাবোনিয়ায় সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ভূয়োদামের বাসিন্দা ত্রিজীবন চাকমা বলেন, আমি প্রায় দুই একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি।

প্রথম চাষাবাদে ফল হয়েছে বাম্পার। ফুল বীজ, তেল আর খৈল সব বিক্রি করা যায়। তাই লাভও বেশি। এক কথায় কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে এ চাষে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আপ্রু মারমা জানান, সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। সূর্যমুখী গাছ লম্বায় ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৩০  সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়। এ বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও  তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে ৯০-১০০ দিন সময় লাগে। প্রতি হেক্টরে ১.৩-১.৫ টন ফসল পাওয়া যায়।

 

সর্বশেষ খবর