খুলনা সিটি নির্বাচন ঘিরে সাংগঠনিক তৎপরতায় ব্যস্ত সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক, বর্ধিত সভার মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করলেও বিগত দিনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র, কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। এ অবস্থায় কর্মীদের চাঙা রাখতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে খুলনা সিটি নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। পরপর দুটি নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ দখলে রাখতে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন নেতা-কর্র্মীরা। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি ও তদারকি কমিটি করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দুঃসময়ের পরীক্ষিত সৈনিক। আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার পেছনে আপনারাই হলেন মূল চালিকাশক্তি। নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে এনে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। দলের ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগের নির্দেশ মোতাবেক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যারা নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে নগরীর চারটি থানায় সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি গঠন শুরু করেছে। এরই মধ্যে সদর থানা সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আহ্বায়ক পদে ১৬৩ ভোট পেয়ে কে এম হুমায়ুন কবীর নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীরুল আজম পান ৮৮ ভোট। তবে দলের বড় একটি অংশ বাইরে রেখে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছেন সাবেক মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থকরা। তিনি বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে খুলনার রাজপথের কার্যকর নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে গঠিত মহানগর আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ তিন মাস হলেও দেড় বছরে কোনো থানা-ওয়ার্ড কমিটি করতে পারেনি। এখন প্রচলিত নিয়মরীতি ভঙ্গ করে যেনতেনভাবে থানা আহ্বায়ক কমিটি করা হচ্ছে। তবে মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আগামী দিনের আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি পকেট কমিটি নয়, কাউন্সিলরদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। আগামী ১৯ মে সোনাডাঙ্গা থানা ও ২০ মে খানজাহান আলী থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। দলের নির্দেশ অমান্য করে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
- একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র্যালি
- ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
- চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ