রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে বেশি

রাজশাহীতে চাহিদার তুলনায় ৭০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত আছে। এই উদ্বৃত্ত কোরবানির পশুগুলো অনায়াসে বাইরে বিক্রি করা যাবে। তবে কয়েক বছর থেকে গবাদিপশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েছে লালন-পালনের খরচ।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২২ সালে কোরবানিতে জবাই হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৭টি পশু। সেই হিসাবে এ বছরও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তারপরও কিছু বাড়তে পারে। তবে রাজশাহী জেলায় কোরবানির উপযোগী পশু আছে ৪ লাখ। এর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া আছে। এই পশুগুলো কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। পশুগুলো খামার ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে লালন-পালন করা হয়েছে। মালিকরা কোরবানিকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করবেন এসব পশু।

গরুর খামারি শরিফুল ইসলাম বলেন, কোরবানিকে কেন্দ্র করে সাধারণত গ্রাম এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গরু, ছাগল লালন-পালন করা হয়ে থাকে। কেউ গরু পালন করেন বিক্রি করে কোরবানিতে গরুর ভাগা দেওয়ার জন্য। কেউ বা বাড়িতে ছাগল পালন করেন। তাদের উদ্দেশ বিক্রি করে কোরবানিতে গরুর ভাগ দেওয়ার। আর অনেকেই বাড়ির পোষা ছাগলই কোরবানি দেয়।

গরুর খামারি আরাফাত রুবেল বলেন, বাংলাদেশিরা দেশি পশু কোরবানি করতে পছন্দ করেন। কোরবানির জায়গা থেকে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। গরু পালন করতে এখন প্রচুর খরচ। যেহেতু দেশের পালন করা পশু কোরবানি দেওয়া সম্ভব। সেই জায়গা থেকে গরু আমদানি না করা হলে খামারিরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। আমাদের প্রত্যাশা কোরবানি উপলক্ষে যেন পশু আমদানি না করা হয়।

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটি হাট। এই হাটের ইজারাদার ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, সিটি পশুর হাট সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসছে। তবে এখনো কোরবানির পশুর কেনাবেচা শুরু হয়নি। কারণ কোরবানির এক মাসের মতো সময় আছে। কোরবানির এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন হাট দেওয়া হবে। কোরবানির হাট শুরুর আগে মাইকিং করা হবে।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জুলফিকার আখতার হোসেন বলেন, রাজশাহীতে চাহিদার তুলনায় কোরবানিযোগ্য পশু বেশি আছে। এ বছর রাজশাহীতে কোরবানির উপযোগী পশু আছে ৪ লাখ। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কারণ উপজেলাগুলোর সর্বশেষ তথ্য পেতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে। রাজশাহী জেলায় গত বছর ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৭টি পশু জবাই হয়েছিল। আমরা যদি গত বছরের জবাইকৃত পশু হিসাবে ধরি, সেই হিসাবে ৭০ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত আছে। কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশু আমদানির প্রয়োজন নেই।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, কোরবানির পশুর সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৭ কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের জন্য জেলায় প্রায় ৪ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বরং চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭০ হাজার পশুর জোগান বেশি আছে। পশুর জোগান বেশি থাকায় এবার ঈদে গবাদিপশু পালনকারী খামারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই একটি ভালো পরিবেশ বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, ভারত থেকে গবাদিপশু আসা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। কৃষক ও খামারিরা যাতে কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে যাতে কোনো গবাদিপশু দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর