শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

তেলবাহী ট্রেন-লরির সংঘর্ষ তদন্ত কমিটি গঠন

রেললাইনে ব্যারিয়ার না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলোয় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যু। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে রাসায়নিকবাহী লরির সংঘর্ষে এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের অনেক রেলক্রসিংয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় পথচারী ও যানবাহনকে। কোথাও ব্যারিয়ার আছে, কোথাও নেই। কোথাও থাকলে সেখানে গেটম্যান নেই। কোথাও ব্যারিয়ার থাকলেও তা নষ্ট পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান বলেন, বৃৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার যে জায়গায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে রাসায়নিকবাহী লরির সংঘর্ষ হয়, সেখানে নিরাপত্তায় কোনো ব্যারিয়ার (প্রতিবন্ধকতা) ছিল না। ফলে যানবাহনগুলো অনায়াসে যাতায়াত করে আসছে। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে একটি তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে ৪০ হাজার লিটার ডিজেল পড়ে যায়। ৬ এপ্রিল একই রুটে তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ ঘটে। ৬ মার্চ ইপিজেড থানার বিমানবন্দর সড়কে ট্রেনের চলন্ত ইঞ্জিনে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় তিনজনের মৃৃত্যু হয়। ৬ মে নগরের আমবাগানে একটি ট্রেন চলে যাওয়ার পর হঠাৎ রেললাইনে উঠে যায় একটি মাইক্রোবাস। তখনই অন্য পাশ থেকে একটি ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যায় বহুদূর। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ব্যারিয়ার না ফেলায় দুর্র্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। ২০১৬ সালের ১৬ মে ষোলশহর রেলগেটে বাস ও তেলবাহী ওয়াগনের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও চারজন আহত হন। রেলওয়েসূত্রে জানা যায়, নগরের অন্যতম ব্যস্ততম রেলগেট ষোলশহর। এ গেট দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নাজিরহাট ও দোহাজারীগামী অন্তত ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বের হয়ে প্রথম রেলক্রসিং কদমতলী। এ রেলক্রসিং দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনে গড়ে অন্তত ২৫ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। আমবাগান রেলক্রসিং দিয়ে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নাজিরহাট ও দোহাজারীগামী ৮ থেকে ১০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু অতিব্যস্ততম এসব গেট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর