কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে বর্তমান পরিস্থিতিতে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রংপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা, পদ্মা ও যমুনার কোনো ডিপোতেই তেল নেই। এ জন্য বিপাকে পড়েছেন ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। একই সঙ্গে তেল না থাকায় অনেকে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। তবে কোনো কোনো ফিলিং স্টেশন বাঘাবাড়ি এবং পার্বতীপুর থেকে তেল এনে তাদের ফিলিং স্টেশন চালু রাখার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, জ্বালানি তেল বিপণনকারী মেঘনা, পদ্মা ও যমুনা ডিপোতে রংপুরে সপ্তাহে তেলের চাহিদা ৩০ লাখ লিটার। গত ২৯ জুলাই সর্বশেষ তেলের ওয়াগন রংপুরে এসেছিল। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়াগানে করে তেল আসেনি।
সূত্রে মতে, রংপুর অঞ্চলের চার জেলায় জ্বালানি তেল ডিজেলের মাসিক চাহিদা ১ কোটি ২৫ লাখ, পেট্রল ২৫ লাখ ৫০ হাজার ও অকটেন ৪ লাখ ৪০ হাজার লিটার। রংপুরে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোয় ২৭ লাখ লিটার ডিজেল, ১০ লাখ ৬০ হাজার লিটার কেরোসিন, ৬ লাখ লিটার পেট্রল ও ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার অকটেন মজুত করে রাখা যায়। রংপুর ছাড়াও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ডিপো রয়েছে। সেখানেও মজুত শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ডিপো ম্যানেজাররা জানান, গত ৩০ জুলাই ১০ লাখ লিটার তেল ওয়াগানে লোড করা হয়েছে। কিন্তু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ওই তেল রংপুরে আসতে পারছে না। ফলে সংকট দেখা দিয়েছে। তেলের অভাবে অনেক ফিলিং স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে কয়েকজন বাঘাবাড়ি এবং পার্বতীপুর থেকে পরিবহনে দ্বিগুণ খরচ করে তেল এনে ফিলিং স্টেশন চালু রাখার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থা আর কদিন চললে চালু ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রংপুরে ৮৫টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে।
ফিলিং স্টেশনের মালিক মঞ্জুর আজাদ বলেন, রংপুরের ডিপোতে তেল নেই। পার্বতীপুর থেকে তেল এনে ফিলিং স্টেশন চালু রাখা হয়েছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে।