খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে আজ দুপুর ১২টার মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।
গতকাল দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ৫ মে শিক্ষক সমিতি ক্যাম্পাসে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা কমিটি শোকজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নিয়মানুযায়ী এখন বিচারকাজ সম্পন্ন করা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
কিন্তু কারও একক সিদ্ধান্তে বিচারের কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে না। এ কারণে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি পূরণ না হলে সেখান থেকেই আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিক্ষক সমিতি কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি ও শিক্ষকদের সাইবার হেনস্তার প্রতিবাদসহ অন্যান্য দাবি পূরণে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বহিরাগতদের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। একই সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ ওঠে।