গোপালগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সহিংসতা তাদের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার লক্ষণ হিসেবে দেখছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)। দলটির ভাষায়, এটি শঙ্কাজনক রাজনৈতিক সংকেত। গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেপিবি মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমন আওয়ামী লীগ তাদের পুনরুত্থানের জানান দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত শঙ্কাজনক। কেউ চায় না ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ী খুন হলেও সরকার তা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। গোপালগঞ্জে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সব সহিংসতার বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকা উচিত।’
জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২৪ সালের সেই আন্দোলন একটি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। এক বছর পরও সংস্কার কার্যক্রমে ধীরগতি, বিচারহীনতা এবং গণ অভ্যুত্থানের অংশীদারদের উপেক্ষা জনমনে হতাশা তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টাম লীর সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, সমন্বয়কারী নুরুল কাদের সোহেল।