মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ইদ্রিস শাহ’র (৩৫) দাফন সম্পন্ন করেছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)।
বুধবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইদ্রিস শাহ। পরে সন্ধ্যায় তার দাফন-কাফন সম্পন্ন হয়।
ইদ্রিস শাহ’র বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে। আজ সকালে তাকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাাস উপসর্গ নিয়ে মৃতদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঁচ সদস্যদের মুজিবনগর আলেম কমিটি মৃত ইদ্রিসের দাফন-কাফন করতে অস্বীকার করে। পরে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে দাফন কাফন সম্পন্ন করেছেন।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা উসমান গনি বলেন, মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের জন্য আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক গঠিত পাঁচজনসহ মোট ছয়জন আলেমকে ডাকা হয়। করোনার সন্দেহে মৃত্যুর কথা শুনে পাঁচজন সদস্যই অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন ডিসি স্যারের সাথে আলোচনাক্রমে আমি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজোআন আহম্মেদ এবং থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাসেম তিনজন একসাথে লাশ দাফনের জন্য যাত্রা করি। জানাজা পড়ানোর জন্য আমরা নিজেরাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে শেষ মুহূর্তে গোপালনগর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম এসে জানাজায় ইমামতি করেন। এর আমরা তিন জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় পাঁচজন যুবক মিলে লাশ দাফন করি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন