সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তারপর থেকেই ক্রমশ সামনে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভারতপ্রীতি।
মঙ্গলবার তিনি জানালেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতে রেমডেসিভির-সহ বিভিন্ন ওষুধ পাঠাচ্ছে আমেরিকা। পাঠানো হচ্ছে টিকা তৈরির কাঁচামালও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। মহামারী মোকাবিলায় আমরা (ভারতকে) অবিলম্বে রেমডেসিভির ও অন্যান্য ওষুধ-সহ অনেক কিছু পাঠাচ্ছি। টিকা তৈরির জন্য যে পদ্ধতির প্রয়োজন, সেগুলোর যন্ত্রপাতিও পাঠাচ্ছি। এছাড়া টিকা পাঠানোর বিষয়েও আমি মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছি। যে কাজটা করার ইচ্ছা আছে আমার।”
যদিও দিনকয়েক আগেও সেইসব কাঁচামাল, ওষুধ পাঠানোর বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। রফতানিতে মার্কিন প্রশাসনের বিধিনিষেধের কারণে কাঁচামাল পাঠানো হচ্ছিল না। তার জেরে ৩৫টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীর জোগানে প্রভাব পড়ে, যা বায়োলজিকাল ই এবং কোভিশিল্ডের উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) মতো সংস্থা ব্যবহার করে। সেরাম কর্তারা জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ড এবং নোভাভ্যাক্স উৎপাদনের জন্য সেই কাঁচামালের প্রয়োজন আছে।
যদিও সেরাম সিইও আদর পুনাওয়ালা দাবি করেছিলেন, আমেরিকার টালবাহানার জন্য কোভিশিল্ডের উৎপাদনে কোনও প্রভাব পড়ছে না। তবে ধাক্কা খাচ্ছে নোভাভ্যাক্সের উৎপাদন। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচমাল সরবরাহের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আর্জি জানাচ্ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন খোদ পুনাওয়ালাও। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত কর্মকর্তারা জানান, গত সোমবার মার্কিন বিদেশ সচিবের সঙ্গে আলোচনার সময় কাঁচামাল পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেইসঙ্গে কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতা-সহ ভারতের ‘বন্ধু’-দের সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
তারপরই নড়েচড়ে বসেন বাইডেন। ময়দানে নামিয়ে দেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের। সেই সমালোচনার মুখে পড়ে বিধিনিষেধ ঢোক গিলতে বাধ্য হয় ওয়াশিংটন। সরকারি সূত্রের খবর, ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট (ডিপিএ) প্রয়োগ করা মানে নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং মার্কিন উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বন্দোবস্ত।
বিডি প্রতিদিন/কালাম