ভারতজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করার পরই দিল্লিতে ১৯৭ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রান্ত যাবতীয় উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে রিপোর্ট করান। নিজের থেকে কোনও ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের রাজধানী কালো ছত্রাকের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
দিল্লি সরকার কোভিড-১৯ মুক্ত হওয়া রোগীদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জন্য তিনটি হাসপাতালে খোলা হচ্ছে সেন্টার। লোক নায়ক জয় প্রকাশ (এলএনজেপি), গুরু ত্যাগ বাহাদুর (জিটিবি) এবং রাজীব গান্ধী হাসপাতালে খোলা হবে কোভিড মুক্তদের চিকিৎসা করার সেন্টার।
প্রসঙ্গত, AIIMS black fungus সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন জারি করেছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগী যাদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগের মাত্রা বেশি রয়েছে, সেই সমস্ত রোগীদের black fungus সংক্রমণ ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অতিমাত্রায় স্টেরয়েড ইমিউনিটি ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
রোগকে মহামারি ঘোষণার জন্য প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, এই রোগকে ‘মহামারি আইন’-এর আইনের আওতায় রাখতে হবে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে। করোনাভাইরাসকে যেভাবে পরিচালিত করা হয়েছে, ঠিক তেমন ভাবেই পরিচালিত করতে চায় কেন্দ্র। তবে এবার আগাম সতর্কতা নিয়ে এগোচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র: জি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত